বিট কয়েন বর্তমান কারেন্সি এর একটি আলচিত বিষয়। পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী কারেন্সি হচ্ছে এই বিট কয়েন। বিট কয়েন নিয়ে কিছু ধারনা নিচে দেয়া হল।
CoinBase এ সাইন আপ করতে coinbase Reg এখানে থেকে করে নিন। Email Verify করার পর CoinBase এ Log in করুন। বাম দিকে BTC Wallet এ ক্লিক করুন। এবার ডান দিকের Wallet Address থেকে আপনার Address টা কপি করে সংগ্রহ করুন। এবার Bitcoin সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন। এখানে প্রতিদিন পেমেন্ট নিতে পারেন। দৈনিক আয় করতে পারেন ৫০ টাকা -৬০ টাকা অথবা $200 পর্যন্ত । আপনি যদি Trusted সাইট খুঁজেন তবে এটার মত ভাল আর একটাও পাবেন না । আমার দেখা যতগুলো Bitcoin সাইট আছে তার মধ্যে সেরা সাইট এটি। তাই নিচের লিংকে ক্লিক করে রেজিস্টেশন করে নিন।
বিট কয়েন কি?
বিট কয়েন হল একটি অনলাইনকারেন্সি সিস্টেমের মুদ্রা। এই কারেন্সি সিস্টেম কে ক্রিপ্টোকারেন্সি বলে।একে দেখা অথবা ছোঁয়া যায় না। এটি তৈরি হয় অনলাইন এ , এবং ব্যবহারিতও হয়অনলাইন এ ডিজিটাল মাধ্যমে। বিটকয়েন পুরোপুরি আমাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত, এটি কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। আপনি নিজেই অনলাইনথেকে এটি রোজগার করতে পারবেন।
বিটকয়েন সম্পর্কিত কিছু এককঃ
1 uBTC = 0.000001 BTC
1 mBTC = 0.001 BTC
1 satoshi = 0.00000001 BTC
শুরুতে আপনার
কয়েনবেইজ একাউন্টের ৩৪ বর্ণের ঠিকানা একাউন্টে লগইন করে Wallet address এ ক্লিক করে নিয়ে নিবেন।
বিটকয়েন আর্নিং
বিটকয়েন আর্নিং এর কয়টি মাধ্যম আমি জানি তা হল, মাইনিং (mining) এবং কল (faucets)
মাইনিং এ আপনার নির্দিষ্ট একটি বিটকয়েনের অংশ আপনাকে ইউজ করতে হবে। বর্তমানে এটি অনেক হার্ড একটি প্রসেস বিটকয়েন আর্ন করার জন্য।
আরদ্বিতীয় টি হল সবচেয়ে সহজলভ্য উপায় যা বর্তমানে আমাদের মত ইউজার কেবিনামুল্যে বিটকয়েন আর্ন করার সুযোগ দেয়। তবে এটি কতদিন থাকবে তা বলামুশকিল।
এইবার আসি কিভাবে ফ্রীতে বিটকয়েন আয় করবেন। বিটকয়েন ফ্রীতে আয় করার জন্য প্রায় ২০০০ এর উপর সাইট রয়েছে। যারা তাদের ওয়েবসাইটএ ভিসিট করে কেপচা পূরণ করার জন্য বিটকয়েন প্রদান করে থাকে। এটা সাধারণত ১০০-১০০০০০ সাতোশি প্রদান করে থাকে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে বিটকয়েনের একক সাতোশি নামে পরিচিত। একটি ওয়েবসাইট এ কেপচা পূরণ করে অল্প কিছু আয় করা যায়। আর তাই যত বেশি ওয়েবসাইট এ কাজ করবেন আয় তত বাড়বে। আজ আমি আপনাদের আইরকম কয়েকটি সাইট এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যারা নিয়মিত payment করে থাকে।
১. http://freebitco.in
এই ওয়েবসাইটি প্রতি ৫ মিনিট পর পর কেপচা পূরণ করার জন্য সর্বনিম্ন ১০০ থেকে ১২০০০ সাতোশি পর্যন্ত ইনস্ট্যান্ট faucetbox এ প্রদান করে।
এবার আসি কিভাবে কাজ না করে ইনকাম করবেন।
আপনি যদি মনে করেন বিট কয়েন দিয়ে ইনকাম করে আপনার অনেক টাকা ইনকাম হবে সেটা কিন্তু ভুল এটা শুধু কিছু পার্ট টাইম ইনকাম মাত্র।
বিট কয়েন ইনভেস্টমেন্ট সাইট কি?
বিট কয়েন ইনভেস্টমেন্ট সাইট হলো বিট কয়েন আয় বৃদ্ধি করার অন্যতম কৌশল। অর্থাত এখানে আপনাকে যে কোন পরিমান বিট কয়েন জমা রাখতে হবে যেখানে ঐ সকল সাইট গুলো নিদিষ্ট পরিমান পার ডে হিসাবে লভ্যাংশ দিবে। এই লাভের পরিমান প্রায় ০.৫% হইতে ৩.৫০% পর্যন্ত হতে পারে। এখানে এমন কিছু সাইট আছে যেখানে আপনি প্রতিদিনের লাভ প্রতিদিনে উইথড্র করতে পারবেন।
কত পরিমান বিট কয়েন ইনভেস্টমেন্ট করবেন?
আসলে যে সকল সাইটে এরুপ ধরা বাধা নিয়ম নাই সেখানে আপনি যে কোন পরিমাণ বিট কয়েন ডিপোজিত করতে পারবেন। তবে আমার পরামর্শ হল এখানে আপনি প্রতিবার ২ ডলার করে করে ডিপোজিত করতে পারেন। যাতে লাভের পরিমনটা উইথড্র করে পূনরায় ২ ডলার যোগ করতে পারেন। তবে যতবেশী ডিপোজিত করা যায় ততই লাভ। আমার মনে হয় অত লাভের হিসাব না করে মামুলি লাভ করাটাই ভাল। কথায় আছে না “অতি লোভে তাতিঁ নষ্ট!” সত্যিকার কথা বলতে কি আপনি আজকে যে ইনভেস্টমেন্ট সাইটে বিটিসি ইনভেস্ট করছেন সেটি যদি কোন কারনে তাদের সাইট বন্ধ করে দেই তাহলে যারা বেশী ডিপোজিত করেছেন তাদের কি হবে…!! সুতরাং বুঝতেই পারছেন প্রথমত ২/১ ডলার ডিপোজিত করাটাই বুদিধমানের কাজ। তারপরেও যারা বেশী ডিপোজিত রাখতে চাইবেন সেটি তাদের ব্যক্তিগত ব্যপার।
বিটিসি ইনভেস্টমেন্ট সাইটের কাজের সুবিধাবলী
এখানে একাউন্ট ওপেন/লগইন ব্যতিত তেমন কোন কাজ নাই বললেই চলে।তাছাড়া বিট কয়েন সাইটের মত ঘন্টা/মিনিটে ক্যাপচা পূরন করতে হয়না। তবে বিট কয়েন আয় বৃদ্ধি করতে হলে মূল সাইটের ক্যাপচা পূরন ব্যতিত কোন পন্থা নাই। এখানে যা ইনভেস্ট করবেন তার লাভ প্রতিদিনে/নিদিষ্ট সময়ে পাবেন, ফলে বিনাশ্রমে বিটকয়েন আয় আরেকটু বৃ্দ্ধি করতে পারছেন। তাছাড়া এখানে নিজের পকেটের কোন অর্থ খরচ করতে হচ্ছে না।
কিছু বিটিসি ইনভেস্টমেন্ট সাইটের সাথে পরিচয়
বিট কয়েন সাইটের যে রকম ভূয়া সাইট অাছে, ঠিক তেমনি ইনভেস্টমেন্ট সাইটও ভূয়া থাকে। তাই ভূইফোড় সাইট বাদ দিয়ে এলিট সাইটে কাজ করতে হবে। আমি বেশ কয়েকটি সাইটের ঠিকানা পেয়েছি এবং পরীক্ষা করে ফলাফল পেয়েছি। নিম্নে সাইট গুলোর ঠিকানা
হ্যা এর মধ্যে হয়ত অনেকেই বুঝতে পেরেছেন বিট কয়েন হতে অল্প কিছু হলেও সত্যিকারভাবে আয় করা যায়। কিন্তু এই আয় খুব মামুলি। আসলে বিট কয়েন আয় বৃদ্ধি করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে তাহলো-
১। নিয়মিতভাবে একটু হলেও সেই সব সাইটে কাজ করা করা যেমন প্রতিদিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্তত ৭-৮ বার ক্যাপচা পূরন।
২। একটি বিট কয়েন সাইটের পাশাপাশি আরো কয়কেটি লিগ্যাল বিট কয়েন সাইটে কাজ করা।
৩। বিট কয়েন সাইটে ইনভেস্ট করা। থুক্কু ডোল্যান্সার কিংবা পিটিসি নই যে, আপনার পকেটের টাকা খরচ করতে হবে। এখানে আপনার বিট কয়েন আয়কে অন্য কোন সাইটে ইনভস্টে করবেন যেখানে প্রতিদিনে ১-২.৫ পর্যন্ত লাভ পাবেন। তবে এখানেও স্মরন রাখতে হবে বিট কয়েন সাইটের মত ইনভেস্ট সাইটিও বৈধ হতে হবে।
জ্ঞাতব্য বিষয়
অনেকেরই ব্লগে বিট কয়েন আয়ের প্রায় ডজনখানেক ঠিকানা শেয়ার করতে দেখছি। আমি নিজেও পরীক্ষা করে দেখেছি সেইগুলোর ২/১ টি ব্যতিত সবই ভূয়া। অবশ্য এখানো পর্যবেক্ষনে আছি। যাইহোক লিংক শেয়ার করতে দোষ নাই। কিন্তু ভূয়া ভাবে কাজ করে সবই হবে পন্ডশ্রম। তাই যে কোন সাইটে কাজ করার পূর্বে নিশ্চিত হওয়া কিংবা রিভিউ জেনে নেওয়া ভাল।
বিট কয়েন সাইট হতে বিটিসি ইনভেস্ট করে বিট-কয়েন আয় বৃদ্ধি করুন
উপরের পয়েন্ট অনুযায়ী এটিও একটি অন্যতম পদ্ধতি। মানে আপনি যে বিট কয়েন আয় করছেন সেই বিট কয়েন আয়ের কিছু অংশ বিট কয়েন সাইটে ইনভেস্ট করে আয়কে আরেকটু ধাপে বৃদ্ধি করতে পারবেন। বিট কয়েন আয়ে ইনভেস্টের প্রায় অনেক গুলো সাইট রয়েছে। তবে সকল সাইটের সুবিধা সমান নই, কম-বেশী অসুবিধা আছে।
আমি প্রায় ৩ মাস যাবত বেশ কয়েকটি সাইট পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি সাইট পেয়েছি যেখানে আপনি যে কোন পরিমান বিট কয়েন ইনভেস্ট করতে পারবেন। এই সাইটটি খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কোন ফেক সাইচ নই ১০০% লিগ্যাল।
বিট কয়েন সাইটের যে রকম ভূয়া সাইট অাছে, ঠিক তেমনি ইনভেস্টমেন্ট সাইটও ভূয়া থাকে। তাই ভূইফোড় সাইট বাদ দিয়ে এলিট সাইটে কাজ করতে হবে।
আরো
কিভাবে মোবাইলে রিচার্জ করে
যেই সকল সিম এ রিচার্জ করতে
ও বলাই তো হলো না সর্বনিন্ম ০.0032
Bitcoin মোবাইল এ রিচার্জ হবে
Country সিলেক্ট করবেন বাংলাদেশ
আর তা করতে না চাইলে সরাসরি
https://www.bitrefill.com/bangladesh/
এ যেয়ে সিম সিলেক্ট করেন।
তারপরে নিউ পেজে আপনার নাম্বার
দিয়ে chek করে নিন (অবশ্যই
নাম্বারের শুরুতে 88 বা ৮৮ দিবেন)
এর পরে আপনার মেইল এড্রেস চাইবে
মেইল এড্রেস দিয়ে বাম পাশ থেকে
এমাউন্ট সিলেক্ট করে পে উইথ বিটকয়েন
নেক্সট পেজে একটা বিটকয়েন এড্রেস
দিবে এবং কতো পাঠাতে হবে সেটাও
আর আপনি ঐ এড্রেস এ কয়েন পাঠানোর
সাথে সাথেই রিসিভ করবে প্রত্যেক বার
অর্ডার করলে নতুন এড্রেস ও টাইম বেধে
ওই টাইমের মধ্যে সেন্ড করতে হবে।
কয়েন পাঠানোর আগে অবশ্যই আপনার
ওরা কয়েন সাথে সাথে রিসিভ করে করলে
আপনার মেইল এ একটা মেইল যাবে। তারপর
টাকাপাঠানোর সময় আরেকটা মেইল যাবে।
আর মোবাইল এও কনফার্ম মেসেজ যাবে।
আমার প্রথমবার ২ মিনিট এর মধ্যে আসছে
আসা করি আপনাদের সবার কষ্টার্জিত টাকা
হাতে পাবেন হাতে না পেলেও মোবাইল এ
সারকথা
আলোচনা করতে করতে একদম টিউনের শেষ পর্যায়ে। আশা করি টিউনের আলোচনা অনুযায়ী নিজেই কাজগুলো করতে পারবেন এবং একটু হলেও বিট কয়েন আয়ের পরিমান আরেকটু ধাপে বৃদ্ধি করতে পারবেন। তবে উপরোক্ত সাইটের মধ্য আলোচনা অংশের ১নং সাইটটি ভাল লেগেছে ও কাজ করছি। এই সাইটয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট হল এখানে ডিপোজিত করার পর অন্য কোন কাজ করা লাগে না কিংবা একাউন্ট কখনোই ডিজাবল হবে না। তবে কখনোই একের অধিক একাউন্ট ক্রিয়েট না করাটাই শ্রেয়। পরিশেষে আরেকটি নিবেদন, আমি বিট কয়েন আয় নিয়ে যতগুলো টিউন করেছি তা কখনোই ফ্রিল্যান্স আয়ের সমকক্ষ বলে মনে করবেন না! কারন আপনাকে অনলাইনে ভাল আয়ের পথ হিসাবে অবশ্যই ফ্রিল্যান্স (ইল্যান্স, ওডেস্ক, গুরু, ফাইভার) শিখতে হবে ও জানতে হবে। তাই ফ্রিল্যান্স বিষয়ে সত্যিকার অর্থে কাজ করার প্রবল আগ্রহ থাকলে অন্য সকল কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্স বিষয়ে জানা ও শেখার পরামর্শ রইল।